• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘আমরা কিছুই দেখি না, সিট খালি হলে শুধু টাকা দেখি’ 

প্রকাশ:  ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:২১
রাবি প্রতিনিধি

‘ডাবল সিটের কক্ষের দাম জানিস? ৭-৮ হাজার টাকা। আমরা কিছুই দেখি না, সিট খালি হলে শুধু টাকা দেখি। টাকা ছাড়া থাকা যাবে না, থাকলে ঝামেলা হবে। যদি ফোর সিটের কক্ষে যাস, তাহলে রেট একটু কমে যাবে। আর এসব নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবি না। এসব ওদের জানালে সমস্যা হবে’, কথাগুলো হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর।

বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার সময় মাদার বখস্ হলের ২০৮ নাম্বার কক্ষে ডেকে নিয়ে অপু এসব কথা বলেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. এখলাস উদ্দীন।

ভুক্তভোগী আরো বলেন, বুধবার রাতে সোহেল রানাসহ ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী তার কক্ষে এসে সরাসরি তার বেড নিচে নামিয়ে দেয়। সেসময় বেড নামিয়ে দিতে বাধা দেওয়ায় তার গায়ে হাত তোলে তারা। তারপর আরেক ছেলেকে তুলে দেয় তারা।

প্রাধ্যক্ষ শামিম হোসেনের মাধ্যমে গত এক সপ্তাহ আগে মাদার বখশ্ হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে উঠেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্টরা হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফফাতের অনুসারী। আর ভুক্তভোগীকে নামিয়ে দিয়ে তারা অন্য একজনকে টাকার বিনিময়ে ওঠাতে চাচ্ছেন।

টাকার বিনিময়ে হলে ওঠানোর অভিযোগের বিষয়ে হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আর আমার মাদার বখশ হল নিয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আপনাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে তবে আপনারা নিউজ করতে পারেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফফাতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি ওদের সাথে কথা বলেছি। যদি শিক্ষার্থীকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া বা মারধর ঘটনা ঘটে থাকে, তবে আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।

হলের সিট থেকে শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়টা আগামীকাল দেখব। এখন কিছু বলতে পারছি না।'

পূর্বপশ্চিম/এসএ/এনএন

‘আমরা কিছুই দেখি না, সিট খা,রাবি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close